শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন রিফাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি (অপ্রাপ্তবয়স্ক) মো. রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী।
ফরাজীর মা রেশমা বেগম ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার ইচ্ছা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার। সরকারের কাছে দাবি, তাকে সাধারণ ক্ষমা করে লেখাপড়া করার সুযোগ দেয়া হোক। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন বরগুনার শিশু আদালত। ২৭ অক্টোবর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ছয়জনের ১০ বছর, চারজনের পাঁচ বছর ও একজনের তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় তিনজনকে খালাস দেয়া হয়।